নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) নারী ক্ষমতায়ন ও আধিকার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। বাংলা সিনেমার এখন অন্যতম সেরা ট্রেন্ডিং নায়িকা হলেন নুসরাত জাহান। তিনি একদিকে যেমন ভালো অভিনেত্রী তেমনি বর্তমানে তিনি একজন সাংসদ। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সাথে যুক্ত । নানারকম এনজিওর সাথে তিনি কাজ করে থাকেন। রিসেন্টলি সুবিধা গর্ভনিরোধক পিল সংক্রান্ত একটি ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান বিখ্যাত পরিচালক সুদেষ্ণা রায় এর সাথে তার সাক্ষাৎকার হয় ।
এই অনুষ্ঠান নুসরত জাহান “ওম্যান এম্পাওয়ারমেন্ট” অর্থাত নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে বিভিন্ন কথা হয় নুসরত। এই অনুষ্ঠানে নিজেই জানিয়েছেন যে মহিলাদের নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা করার জন্য তাঁকে বহুবার ট্রোলড হতে হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও সমাজে মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি যথেষ্ট সক্রিয়। নারী শক্তির উদাহরণ মাদার টেরেসা, ইন্দিরা গান্ধী ও মমতা ব্যানার্জির মত মহিলাদের উদাহরণ দিয়েছেন।
নুসরাত ও নিখিল
নুসরাত ও নিখিলের বিয়ে ও তাদের সন্তান নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে তখন নুসরাতের এই মন্তব্য একটা অন্য মাত্রা নিয়ে আসে। নুসরত জাহান বলেছেন দাম্পত্য জীবন বিষাক্ত হলে তার থেকে বেরিয়ে আসুন। অর্থাৎ এখানেও প্রতিবাদ ও নারী স্বাধীনতা এই ব্যপারগুলো চলে আসে। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা, সেটা হল প্রতিবাদ ছোট থেকেই করা উচিত। অর্থাৎ সারা জীবন মুখ বুজে সবকিছু সহ্য না করে শুরু থেকেই নিজের মতামত প্রকাশ করা।
নুসরত জাহান ও সুদেষ্ণা ম্যাডাম একটা ব্যাপারে খুবই একমত পোষণ করেছেন সেটা হল মহিলাদের আরো ইন্ডিপেন্ডেন্ট, স্ট্রং, সচেতন হতে হবে। এছাড়াও জীবনে ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। নুসরাতের মতে সমাজে অনেক মহিলাই এখনো বঞ্চিত আর। এই বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে কোন পুরুষের সাহায্য না নিয়ে বরঞ্চ মহিলাদের নিজের অধিকারের জন্য নিজেই লড়াই করা উচিত কারণ নিজের অধিকারটা নিজে অর্জন করলে তবেই তার প্রকৃত মূল্য বোঝা যায়।
নুসরত জাহান ব্যক্তিগত জীবন
আগে একটা সময় ছিল তখন মহিলা অর্থাৎ শুধু সন্তান জন্ম দেওয়াই তার কাজ। সমাজে এরকম একটা চিন্তা ধারা ছিল। আজ তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আরও পরিবর্তন দরকার। একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের পনেরো ষোলো বছরে বিয়ে হয়ে যেত। অন্যভাবে বলতে গেলে মেয়েদের মতামত না নিয়েই এই বিয়ের ব্যবস্থা করা হতো। এ ব্যাপারে নুসরাত একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলেছেন যেটা খুবই সত্যি সেটা হলো শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি ছাড়া বিয়ে করা উচিত নয়। কারণ দেখা যায় আঠারো বছর বয়স হয়ে গেলও অনেক মেয়ে মানসিকভাবে সন্তানের জন্মের জন্য প্রস্তুত থাকে না। তাই এইসব গর্ভনিরোধক পিল ইউজ করে ২ বা ৪ বছর সময় নিয়ে নেওয়া যায়। এই সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন প্রসঙ্গে নিজের মায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। এটাও বলেছেন যে বাচ্চা মানুষ করতে গিয়ে তার মাকে নিজের কিছু ইচ্ছা ত্যাগ করতে হয়েছে।
মেয়েরা যে কোন আসবাবপত্র বা বস্তু নয় একটা রক্তমাংসের মানুষ তা নুসরত জাহান এর বক্তব্যে স্পষ্ট। তিনি বলেছেন ওমেন রেস্পেক্ট অর্থাৎ মেয়েদেরকে প্রকৃত সম্মান দেয়া। এটা বাড়ি থেকে শুরু হওয়া উচিত। অর্থাৎ আমরা বাড়িতে যদি স্ত্রী মা-বোনেদের সম্মান দিতে পারি তাহলে গোটা সমাজ টাই পরিবর্তন হবে।
পায়েলের বোল্ড লুকে ভাইরাল নাচ, তারপরই নেটিজনদের বিতর্কিত মন্তব্য