পশ্চিম মেদিনীপুর আকর্ষণীয় জায়গা কাঁকড়াঝোড় (KANKRAJHORE BELPAHARI) – শীত শুরু হলেই বাঙালীর ভ্রমন পিপাসু মন বেড়ানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। আর অল্প খরচে বাড়ির কাছে যদি এমন একটা সুন্দর জায়গা থাকে তাহলে দারুন হয়। এখন অনেকেরই শীতে প্রিয় গন্তব্য পশিম মেদিনীপুর। শাল, শিমুল, পিয়াল, মহুয়া ইত্যাদি নানা গাছে ভরা জঙ্গলের প্রাকৃতির সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে। ছোট ছোট পাহাড়, ঝরনা, লাল মাটির রাস্তা, জঙ্গল শহরের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে। এখানকার সরল সাধাসিধে মানুষদের আতিতেয়তা আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে। শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে একটু দূরে নিস্তব্ধ শান্ত পরিবেশে দু- এক দিন কাটালে ভালোই হয়। যারা ট্রেকিং, বাইক রাইডিং করতে ভালবাসেন, তাঁদের অন্যতম সেরা ঠিকানা হল এই বেলপাহাড়ীর পাহাড়। পশিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ী থেকে মাত্র ২২ কিমি দূরে কাঁকড়াঝোড় এ থাকার খুব ভাল হোম-স্টে আছে। এখানে থেকে খুব সহজেই আসে পাশের টুরিস্ট স্পট গুলি ঘুরে আসা যায়।
কাঁকড়াঝোড় থেকে তিনটি রাস্তা তিন দিক চলে গেছে
- কাঁকড়াঝোড় থেকে শিলদা, বেলপাহাড়ী হয়ে ঝাড়গ্রাম
- পশ্চিম মেদিনীপুর কাঁকড়াঝোড় থেকে চাকাডোবা, বাঁশপাহাড়ী, বন্দোয়ান
- কাঁকড়াঝোড় থেকে ঘাটশিলা
কাঁকড়াঝোড় থেকে বিভিন্ন দূরত্ব
- কোলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম – ১৮০ কিমি
- কোলকাতা থেকে সড়ক পথে দূরত্ব – ২৫৪ কিমি
- ঝাড়্গ্রাম থেকে বেলপাহাড়ী – ৩৬ কিমি
- কাঁকড়াঝোড় থেকে ঝাড়্গ্রাম – ৬২ কিমি
- শিলদা থেকে কাঁকড়াঝোড় থেকে – ৩২ কিমি
- কাঁকড়াঝোড় থেকে বেলপাহাড়ী – ২২ কিমি
- ঘাটশিলা থেকে কাঁকড়াঝোড় – ২২ কিমি
- গাডরাসিনি হিল ও গুহা – ১৩ কিমি
- ঢাঙিকুসুম ওয়াটার ফলস – ১৫ কিমি
- ঘাগড়া ওয়াটার ফলস – ২৭ কিমি
- লালজল কেভ – ১৯ কিমি
- খাঁদারানি ড্যাম – ১৫ কিমি
কিভাবে যাবেন –
- ঝাড়গ্রাম থেকে পরিহাটি হয়ে ধারসা চলে আসুন। এরপর ধারসা থেকে নারায়ানপুর বেলপাহাড়ী আসুন। অবশেষে বেলপাহাড়ী থেকে কাঁকড়াঝোড় ২২ কিমি রাস্তা।
- কোলকাতা থেকে খরগপুর হয়ে লোধাসুনি। এরপর লধাসুনি থেকে ঝাড়গ্রাম হয়ে শিলদা বেলপাহাড়ী। অবশেষে বেলপাহাড়ী থেকে কাঁকড়াঝোড় ২২ কিমি রাস্তা।
- ঘাটশিলা স্টেশান থেকে কাঁকড়াঝোড় দূরত্ব ২১ কিমি। হাওড়া থেকে সকাল বেলা ইস্পাত এক্সপ্রেস ঘাটশিলা চলে আসুন।

KANKRAJHORE BELPAHARI LOCAL SIGHTSEEING
- গাডরাসিনি হিল ও খাঁদারানী লেক – বেলপাহাড়ী থেকে প্রায় ১২ কিমি গেলে পৌছে যাবেন গাডরাসিনি হিল। এটি একটি ছোট পাহাড় কিন্তু রাস্তা বেশ খাড়া। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আধ ঘণ্টা ট্রেকিং করলে পৌছে যাবেন এর হিল টপে। পাহাড়ের উপর থেকে অনেকটা দূর পর্যন্ত ঘন সবুজ অরণ্য দেখতে পাওয়া যায়। পাহাড়ের উপর একটা ছোট গুহা আছে। গাডরাসিনি হিল থেকে কিছুটা দূরে খাঁদারানী লেক দেখা যায়। পাহাড় থেকে নেমে এসে একটু এগিয়ে খাঁদারানী লেক। শীতকালে এই লেকে বেশ কিছু পরিযায়ী পাখি দেখতে পাবেন।
- ঢাঙিকুসুম ওয়াটার ফলস – ঢাঙিকুসুম জলপ্রপাতে যেতে গেলে মেন রাস্তা থেকে নেমে সরু পায়ে চলা রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটতে হবে। এর পর জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেতে যেতে এক সময় পৌছে যাবেন ঢাঙিকুসুম। শীতকালে জল কমই থাকে, তাই বর্ষাকালে এলে দারুন সুন্দর লাগবে।
- লালজল কেভ – কাঁকড়াঝোড় থেকে চাকাডোবার রাস্তা দিয়ে লালজল কেভ ঘুরে আসা যায়। কাঁকড়াঝোড় থেকে চাকাডোবার রাস্তা বেশ মনোরম দুধারে শাল গাছের জঙ্গল আর মাঝে রাস্তা। লালজল কেভ যেতে গেলে মেন রাস্তা থেকে নেমে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে হবে। চারিদিকে লাল বোল্ডারে ঢাকা, তাই বোধ হয় লালজল।
- ঘাঘরা পর্যটন কেন্দ্র – কাঁকড়াঝোড় থেকে গাড়ি করে বেশ কিছুটা গেলে বেলপাহাড়ীর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ঘাগড়া ওয়াটার ফলস। চারিদিকে গভীর শাল-পিয়ালের জঙ্গল, আর তার মাঝখানে পাহাড়ের বুক চিরে কালো পাথর এর মধ্য দিয়ে সর্পিলাকার বয়ে চলেছে তারাফেনী নদী। বর্ষাকালে এখানে এলে ঘাগড়া ওয়াটার ফলস অসাধারণ সৌন্দর্য চোখে পড়ে। স্থানীয় মানুষদের কাছে এই ঘাগড়া জায়গাটি অত্যন্ত পবিত্র। স্থানীয় অধিবাসীরা ও মাহাতো সম্প্রদায়ের মানুষজন পৌষ সংক্রান্তিতে বাড়িতে টুসুপূজ করেন। পয়লা মাঘ সেই টুসু বিসর্জন দেওয়া হয়। এই টুসু পূজ উপলক্ষে এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ঘাগড়া ও তত্সংলগ্ন তারাফেনী নদী অববাহিকায় কিছু ঐতিহাসিক প্রাচীন যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
কাঁকড়াঝোড় কোথায় থাকবেন-
ঝাড়্গ্রাম জেলা ভ্রমণে এসে অনেকেই পাহাড় জঙ্গলের মাঝে থাকা ঠিকানা সন্ধান করেন। বেলপাহাড়ির পাহাড়ির জঙ্গল দলমা পাহাড়ের পরিবর্ধিত অংশ। শীতকালে অনেক সময় পাহাড়ে খাবারের অভাব হলে দলমা পাহাড়ের হাতি বেলপাহাড়ীর জঙ্গলে চলে আসে। সেই রকমই এক ADVENTURE এ ভরা সবুজে ঘেরা পাহাড়ি এলাকার মাঝে অবস্থিত এই হোমস্টে।
চারমূর্তি হোম-স্টে
থাকা খাওয়া সমেত – ২০০০ টাকা প্রতি জন
সিন্টু ভট্টাচার্য ( কাকড়াঝোর চারমূর্তি হোমস্টে কর্ণধার)
Mr. SINTU BHATTACHAJEE ( Owner)
📞 for Advance Booking Call – 9836830342
🖥️🖱️ http://www.kakrajhor.com/
মাহাতো হোম-স্টে
মাহাতো হোম-স্টেতে মাটির ঘরে রাত কাটানোর এক দারুন ব্যবস্থা আছে। মাহাতো হোম-স্টে টি হল একটি মাটির দোতলা বাড়ি। থাকা খাওয়া সব রকম সুব্যবস্থা আছে। থাকা খাওয়া সমেত – ১২০০ টাকা প্রতি জন।
Mahato Homestay – 9635162870
গাড়রাসিনি পবিত্রা হোম-স্টে
GADRASINI PABITRA HOME STAY 🏡
AGUIBILL , BELPAHARI
BOOKING CALL – 6295231416, 9547683407, 8116577330.
OWNER Mr MANGAL CHANDRA SINGH
MANAGER SANKAR SINGH (9547683407)
PHONE PE NUMBER – 9434992241