সিদ্ধ পুলি পিঠে রেসিপি। পিঠে জিনিসটা এমন একটা জিনিস যা সব বাঙালিরা খেতে খুব ভালোবাসে। শীতকালের দিকে পিঠা তৈরি খেতে খুব ভালো লাগে। আপনারা জানেন যে, পিঠে তৈরি হয় সাধানত নারকেলের পুর দিয়ে। কিন্তু তা ঠিক নয়। আপনারা যদি ওই নারকেলের পুর না দেন বা যদি ভাবেন নারকেলের পুর দিয়ে পিঠে খেলে অম্বল হবে, তাহলে আপনারা এক কাজ করতে পারেন যাদের সুগার নেই তারা যদি পিঠেতে নারকেলের পুর এর বদলে অল্প একটু করে সন্দেশ পুর ভরে দিন। তাহলে আপনি যে পিঠা তৈরি করবেন সেটা খেতে খুব টেস্টি হয়ে যায়। যারা পিঠে খান না তাদেরও এই পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগবে।
সিদ্ধ পুলি পিঠে প্রস্তুতিঃ
নারকেল পুর
সিদ্ধ পুলি পিঠে বা চন্দ্রপুলি বানানোর প্রধান উপকরণ হল নারকেলের পুর। নারকেলের পুর না থাকলে বা কারো নারকেলে সমস্যা থাকলে সন্দেশ ব্যবহার করা যেতে পারে। নারকেলের পুর বানানোর জন্য প্রথমে কড়াই গরম করে তাতে হাফ চা চামচ ঘি দিতে হবে।
এরপর ঘি একটু গলতে শুরু করলে এর মধ্যে কোরানো নারকেল দিয়ে নাড়তে হবে। প্রায় দু মিনিট পর ওই কোরানো নারকেল এর মধ্যে 300 গ্রাম পাটালি গুড় বা না থাকলে আখের গুড় দিয়ে আবার খুন্তি দিয়ে নাড়তে হবে।
এরপর করাইতে ১/৪ চামচ এলাচ গুঁড়ো ও সামান্য পরিমাণ নুন এবং স্বাদ অনুযায়ী মিষ্টি বা চিনি যোগ করে আবার খুন্তি দিয়ে নাড়তে হবে। তারপর কড়ার মধ্যে এক কাপ পরিমাণ গুঁড়ো দুধ বা কনডেন্স মিল্ক দিতে হবে। এরপর আবারও মিশ্রনটিকে খুন্তি দিয়ে নাড়তে হবে। ভালোভাবে না নারলে তলা ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এরকম ভাবে প্রায় আট মিনিট রান্না করার পর নারকেলের গুরো হালকা বাদামি বর্ণ ধারন করবে। এরপর গ্যাস অফ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে কড়া থেকে নামিয়ে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল নারকেলের পুর।
উপকরণঃ
- চালের গুঁড়া 500 গ্রাম
- গরম জল এক বাটি
- মাখা সন্দেশ আড়াইশো গ্রাম
- অথবা একটা নারকেল কুরানো
- খেজুরের গুড় 100 গ্রাম
সিদ্ধ পুলি পিঠে প্রনালীঃ
Step_1: প্রথমে একটা পাত্রে পরিমান মত সেদ্ধ চালের গুড়ি নিয়ে তাতে অল্প অল্প করে গরম জল মেশাতে হবে।
Step_2: এরপর সেদ্ধ চালের গুড়িটাকে ভালো করে গরম জল দিয়ে মেখে ওটাকে প্রথমে লেচি করে নিতে হবে। তবে সেটা একটু আঠার লেচির মতো বড় হলেও চলবে।
Step_3: তারপর ওই চালের গুড়ির লেচি গুলি হাতের তেলোর সাহায্যে ছোট ছোট করে বাটির মতো করতে হবে। তারপর ওতে অল্প methandienone tablets পরিমান সন্দেশের পুর দিয়ে দুপাশের দু-মুখ বুঝিয়ে দিতে হবে। ঠিক খানিকটা দেখবেন পটলের মত দেখতে লাগছে।
Step_4: এইভাবে অনেকগুলো হয়ে গেলে একটি ডেচকিতে জলে ফুটিয়ে পিঠে গুলোকে ওতে দিয়ে পিঠেটাকে কিছুক্ষণ ফোটাতে হবে। তারপর ভেসে উঠলে পিঠে গুলিকে আস্তে আস্তে তুলে ফেলবেন।
Step_5: একটু ঠান্ডা হলে সিদ্ধ পুলি পিঠে গুলিকে খেজুর গুড় দিয়ে পরিবেশন করুন। দেখবেন এটা খেতে প্রচুর সুস্বাদু হয়।
পরিবেশনঃ
সিদ্ধ পুলি পিঠে গরম গরম পরিবেশন করা হয় খেজুর গুড় দিয়ে ঠান্ডা হয়ে গেলে এই পিঠে খেতে অতটা ভালো লাগেনা অনেক সময় সিদ্ধ পিঠে বা চন্দ্রপুলি ঝাল ঝাল তরকারি সাথে পরিবেশন করা হয় বাঙ্গালীদের ঘরে পিঠেপুলি একটা বড় উৎসব পৌষ সংক্রান্তি সময় প্রতি ঘরেই সন্ধ্যের দিকে নানা রকমের পিঠা তৈরি করে খাওয়া হয়।
টিপসঃ
পিঠে শুধু কোন রান্না নয় এটা একটা শিল্প। তাই চটজলদি তাড়াতাড়ি ভাবে পিঠে তৈরি করলে পিঠে ভালো হয় না। হাতে অনেকটা সময় নিয়ে যত্ন করে অনেকক্ষণ ধরে পিঠে তৈরি করতে হয় তবেই সেই পিঠে সুস্বাদু হয়।
পিঠা তৈরি করার জন্য প্রথমে সেদ্ধ চালের গুঁড়ো ভালো ভাবে জল দিয়ে মেখে ফেলতে হবে। এমন ভাবে মাখতে হবে যাতে পিঠা সংখ্যায় অনেক হয় এবং শক্ত না হয়।
চালের গুঁড়ো জল দিয়ে যত ভালোভাবে মাখা যাবে পিঠা ততো নরম হবে। কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, সিদ্ধ চালের গুড়ি আপনি যত ভালো করে মাখবেন তত বেশি পিঠে নরম হবে। আর আপনারা যদি আলো চালের গুড়ি ব্যবহার করেন তাহলে ওটাকে যত ভাল করেই মাখুন না কেন আলো চালের পিঠে শক্ত হয়ে যাবে।
FAQ:
সিদ্ধ পুলি পিঠে ছাড়া আর কি কি ধরনের পিঠে হয়?
সিদ্ধ পুলি পিঠে ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পিঠা বাংলার ঘরে ঘরে হয়। তার মধ্যে বেশ কিছু পিঠে হল – দুধ পুলি, ভাজা পিঠে, রাঙা আলুর পিঠে, পাটিসাপটা, চন্দ্রপুলি, মাংস পিঠা, চিতই পিঠা ইত্যাদি।